আমার রাত পোহাল, শারদপ্রাতে……।। একটা দীর্ঘ অপেক্ষা থাকে এই আশ্বিনের ভোরের জন্য, তাই কবিগুরুকে দিয়েই বাঙ্গালির সবথেকে বড় উৎসবের উদযাপন শুরু করলাম, পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের ভেলা কেউ যেন নীল আকাশে ভাসিয়ে দিয়েছে, নদী আপন স্রোতে তার মোহনার উদ্যেশ্যে বয়ে চলেছে, কাশফুলের সারি সবুজ ঘাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে, শিশির ভেজা শিউলি ভোরের আলোকে স্বাগত জানাচ্ছে, ছাতিমের গন্ধে রাস্তা আজ সুবাসিত, পদ্মফুল আর শাপলার দল তাদের অস্তিত্বকে জলাধারে ভাসিয়ে রেখেছে, যেন সাদা ক্যানভাসে কেউ বিভিন্ন রঙ ছিটিয়ে দিয়েছে, আর প্রকৃতি তার গর্ভে ধারণ করেছে এই অপরূপ সৌন্দর্যকে, সেই সৌন্দর্যই আমাদের কাছে বার বার ফিরে আসে শরৎ রূপে। ঊমা আসছে বাপের বাড়ি, তাই জন্য বাংলার গ্রাম থেকে গ্রামান্তর, শহর থেকে শহরতলি সেজে উঠছে এক অপরুপ রূপে, প্রকৃতি সাজাচ্ছে তার নিয়মের আঙ্গিকে, শিল্পীরা সাজাচ্ছে তাদের শৈল্পিক গুনে। প্রতিমা, মণ্ডপ, আলোকসজ্জা সব মিলিয়েই শারদোৎসব বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হয়ে ওঠে। আর এই উৎসবের যারা কাণ্ডারি, তারা তাদের দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রমে একে করে তোলে আরও সুন্দর। তাদের এই প্রচেষ্টাকেই কুর্নিশ জানাতে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সেইসব পুজো উদ্যোক্তাদের মন থেকে সন্মান জানাই, “Craftsocially শারদ সন্মান ২০২১” আমাদের মনের এই ভাবনাকে আমরা একটি স্মারকের রূপ প্রদান করেছি, যেটি সম্পূর্ণ একটি শাপলা ফুলের প্রতিরূপ, দলমণ্ডলগুলি তাদের স্বমহিমায় বিরাজ করছে, আর তার ঠিক মধ্যিখানে স্বপরিবারে রয়েছেন মা, প্রকৃতি যেমন তার গর্ভে শরৎ-কে ধারণ করে, তেমনিই শাপলা ফুলের গর্ভে বিরাজ করছে স্বয়ং মা দূর্গা।
Share this